সাজ্জাদুল ইসলাম ক্রাইম রিপোর্টারঃ গত ২৮মে সকালে মণিরামপুর থানা পুলিশ জানতে পারে যে, অত্র থানাধীন খাটুয়াডাঙ্গা গ্রামস্থ আব্দুর রশিদ মিন্টুর চাতাল ঘরের মধ্যে রক্তাক্ত অবস্থায় একটি লাশ পড়ে আছে।
এমন তথ্যের ভিত্তিতে মণিরামপুর থানা পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে সরেজমিনে দেখতে পায় ভিকটিম সাথী আক্তার ওরফে স্বরুপজান (৩৫) এর মৃতদেহ পড়ে আছে এবং তার শরীরের মাথা সহ বিভিন্ন স্থানে একাধিক ধারালো অস্ত্র দ্বারা আঘাতের চিহ্ন রয়েছে পরবর্তীতে থানা পুলিশ লাশটি উদ্ধার পূর্বক ময়না তদন্তের জন্য যশোর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে প্রেরণ করে।
এসংক্রান্তে ভিকটিমের ভাই মোঃ শহিদুল ইসলাম (৪৪) বাদী হয়ে মনিরামপুর থানায় এজাহার দায়ের করে যার মামলা নং-১৬ এবং ধারা- ৩০২/৩৪ পেনাল কোড রুজু হয়েছে। ঘটনাটি চাঞ্চল্যকর হওয়ায় জেলার সম্মানিত পুলিশ সুপার ঘটনার মূলরহস্য উদঘাটন সহ জড়িতদের গ্রেফতারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশনা প্রদান করলে মণিরামপুর থানা পুলিশ, জেলা গোয়েন্দা শাখা(ডিবি) এবং সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন সেলের সমন্বয়ে কয়েকটি টিম ঘটনার সাথে জড়িতদের গ্রেফতারে সারা রাত যৌথ অভিযান পরিচালনা করে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে হত্যায় জড়িত ভিকটিমের স্বামী আব্দুর রশিদ মিন্টু এবং অপর আসামি ভিকটিমের সৎ ছেলে জিসান(২২) কে অভয়নগর থানাধীন শংকরপাশা এলাকা হতে গ্রেফতার করে। ধৃত আসামিদ্বয়কে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা হত্যার সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে এবং তাদের স্বীকারোক্তি মতে আসামিদ্বয়ের বসতবাড়ী থেকে হত্যা কাজে ব্যবহৃত কুড়াল ও শীলের নড়া উদ্ধার পূর্বক জব্দ করা হয়।
প্রাথমিকভাবে জানা যায়, ভিকটিমের সাথে আসামিদের পারিবারিক দ্বন্দ্বের জেরে হত্যা কান্ডটি ঘটিয়েছে। এসংক্রান্তে ধৃত আসামিদের বিজ্ঞ আদালতে সোপার্দ করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে মণিরামপুর থানা পুলিশ।